
প্রকাশিত: Sat, Jan 14, 2023 3:50 PM আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 10:18 PM
আসুন, ভাবি এবং প্রশ্ন করি
মাহমুদুজ্জামান বাবু
২০০৮ সাল থেকে ২০২৩Ñ প্রায় চৌদ্দ বছর। এই চৌদ্দ বছরের দীর্ঘ সময়ে আমাদের সংস্কৃতি ও শিল্পাঙ্গনের মাথা মাতবর-মোড়ল ও বিশিষ্টরা দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শাসনব্যবস্থা, বাক-ব্যক্তি-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, স্বাধীন ও মুক্তচিন্তা প্রকাশের অধিকার, ধণিক শ্রেণীর লুটপাট, দেশের সম্পদ ও অর্থ বিদেশে পাচার, ব্যাংক লুট, নারী নির্যাতন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, জবাবদিহি না করার সরকারি ঔদ্ধত্য এবং সকল রকমের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্খলন নিয়ে কী করেছেন? কী বলেছেন?দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর বেশ আগে থেকে ইতালিতে বেনিতো মুসোলিনির শাসন কাঠামো ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সূচনা করেছিলো।
তার কিছুদিন আগে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বভারতীর জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি ইউরোপ আমেরিকা ভ্রমণের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে ভ্রমণে বের হয়ে ইতালি পৌঁছে মুসোলিনির ‘ফ্যাসীবাদী’ দুঃশাসনের পক্ষে কাব্যিক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ফরাসি দার্শনিক সাহিত্যিক রম্যাঁ রল্যাঁ এবং ইউরোপের অন্যন্য মানবতাবাদী শিল্পী সাহিত্যিকরা এতে ভীষণ স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত হয়েছিলেন। কারণ ইতালির সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্র-পত্রিকায় মুসোলিনিকে প্রশংসা এবং ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে যৌক্তিক বলে দেওয়া রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিলো। পরে প্রধানত রম্যাঁ রল্যাঁ’র সাথে কথা বলে রবীন্দ্রনাথ নিজের মহাপাতকী ভুল বুঝতে পারেন এবং নিজের ভুল স্বীকার বক্তৃতা দেন এবং নিবন্ধ লেখেন।
রম্যাঁ রল্যাঁ নিজের ও রিষষ হড়ঃ ৎবংঃ নিবন্ধে লিখেছেন, ‘আমি রবীন্দ্রনাথের চোখ খুলিবার চেষ্টা করিলাম। আমার পক্ষে এ চেষ্টা খুব সফল হয় নাই। ফ্যাসিজমের আসল রূপ তাঁহার খুলিয়া ধরিলাম।’ (পৃষ্ঠা ৬৪)। রবীন্দ্রনাথ বিচলিত হয়ে রল্যাঁ কে পরে লিখছেন, ‘ইতালি সফরের পরে আমার মনে যে মলিনতার স্পর্শ লেগেছিলো, এক মুক্তি-স্নানে তা দূর হয়েছে। ফলাফল পরে জানতে পারবেন।’ এই লেখার শুরুতে বাংলাদেশের বিগত চোদ্দ বছরে আমাদের মনীষী বুদ্ধিজীবী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংগঠক শিল্পীসমাজ আঁকিয়ে ইত্যাদির ‘ফ্যাসীবাদ’ সম্পর্কে শুধু নীরবতাই না সরব প্রশংসারও নিত্যনতুন নজির তৈরি হয়েছে, হচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রে সমাজে ব্যক্তিমানসে কি মলিনতা স্পর্শ করেছে, করে চলেছে নাকি আদৌ কিছুই অনুভূত হচ্ছে না, এর ফলাফল জানার উপায় কী? আর কতো পরে আমাদের এই নীরবতা, মুখ বুজে থাকার কারণে আমাদের মস্তিষ্কে এই রবীন্দ্রনাথেরই সেই সত্যভাষণ ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে’ একটা ঝাঁকুনি দেবে? আসুন, ভাবি এবং প্রশ্ন করি। কারণ সভ্যতা নির্মাণের প্রথম ধাপ ছিলো জগতের বিস্ময়কর সকল কিছু দেখে ‘কেন?’ ‘কীভাবে?’ এরকম ছোট ছোট প্রশ্ন করা। লেখক: সংগীতশিল্পী। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
